ব্যবহারকারীর তথ্য ‘পাচার করে শাওমি’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৩৩

ছবি- সংগৃহীত
সম্প্রতি সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে চাইনিজ টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান শাওমি। তবে স্মার্টফোন নির্মাতা শাওমির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা তাদের গ্রাহকের তথ্য ‘গোপনে সংগ্রহ করে’ সিংগাপুরে পাঠায়।
ইউরোপের দেশ লিথুনিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, চীনা এই প্রতিষ্ঠানটির ডিভাইসে ‘বিল্ট ইন’ এমন কিছু সেন্সরশিপ আছে এবং এই সেন্সর ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর ডেটা সংগ্রহ করে এনক্রিপ্টেড অবস্থায় আলাদা সার্ভারে পাঠাচ্ছে। দেশটির নাগরিকদের এই ব্র্যান্ডের ফোন কেনা থেকে বিরত থাকতে এবং প্রয়োজনে পুরনো ফোনগুলো ফেলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপে বিক্রি হওয়া শাওমির ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনগুলোতে ‘তিব্বত মুক্ত করো (Free Tibet)’, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা দীর্ঘজীবি হোক (Long live Taiwan independence)’ এবং ‘গণতন্ত্র আন্দোলন (democracy movement)’-এর মতো স্লোগান চিহ্নিত করে সেন্সর করার বিল্ট-ইন ক্ষমতা আছে।
লিথুয়ানিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার’ থেকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের অঞ্চলের জন্য শাওমির এমআই ১০টি ৫জি মোবাইল ফোনে এই ফিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে সেটি যে কোনো সময় দূর থেকেই চালু করে দেয়া সম্ভব।
অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাওমি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সকে জানানো হয়েছে, ‘এ ধরনের কোনো সেন্সরশিপ শাওমির ফোনে নেই। শাওমি তার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত আচরণ, যেমন সার্চিং, কলিং, ওয়েব ব্রাউজিং কিংবা তৃতীয়পক্ষের কোনো সফটওয়্যার ব্যবহারের মতো বিষয়গুলো কখনও সীমিত কিংবা বন্ধ করেনি এবং করবেও না।
প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র আরো বলেছেন, ‘ব্যবহারকারীদের আইনগত অধিকারকে শাওমি পুরোপুরি শ্রদ্ধা করে এবং তা রক্ষায় কাজ করে।’
লিথুনিয়ার সরকারি ওই প্রতিবেদনে শাওমির পাশাপাশি হুয়াওয়ের মোবাইলেও এ ধরনের অভিযোগ উঠেছে, অবশ্য ওয়ানপ্লাসের ফোনে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলেও জানানো হয়েছে।