বাংলাদেশে ই-কমার্সের পাশাপাশি ফেসবুকভিত্তিক শপ থেকে কেনাকাটা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে নানা কারণে অনলাইনে কেনাকাটা দিন দিন বাড়ছে। তবে অনলাইনে কেনাকাটার যেমন সুবিধা রয়েছে, তেমনই রয়েছে বেশ কিছু অসুবিধাও। যা কি-না আপনাকে ফেলতে পারে ভোগান্তিতে। আপনাকে যেন কোনো ভোগান্তিতে পড়ে আফসোস করতে না হয়, সে জন্যই এই সাবধানতামূলক পোস্ট।

বিশ্বাসযোগ্য জায়গা থেকে কিনুন

আপনি নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকলে ইতিমধ্যেই অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানেন। সাধারণত যেগুলো থেকে বেশিরভাগ মানুষ কেনাকাটা করে, চেষ্টা করুন সেগুলো থেকেই কিনতে। আবার আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা বা কোথা থেকে কিনছে নিয়মিত জেনে নিতে পারেন। কেননা নতুন নতুন অনেক ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে, যার মধ্যে অনেকেই ভুয়া সাইট খুলে টাকা মেরে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।

ক্যাশ অন ডেলিভারি

বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পণ্য পাওয়ার আগেই পেমেন্ট করবেন না। বিশেষ করে ফেসবুক পেজ আর নতুন ওয়েবসাইটগুলোর ক্ষেত্রে কখনোই আগে পেমেন্ট করা উচিত হবে না। তাদের বলুন পণ্য বুঝে পেলেই কেবল আপনি টাকা দেবেন। এতে আপনার টাকা হারানোর কোনো ভয় থাকবে না।

রিটার্ন বা রিপ্লেসমেন্ট পলিসি জানুন

অনেক সময় এমন হতে পারে যে, অনলাইনে আপনি যেমন প্রোডাক্টটি দেখলেন বাস্তবে সেটার সঙ্গে বেশ অমিল রয়েছে। তখন তাদের রিটার্ন পলিসির ওপর ভিত্তি করে টাকা ফেরত পাবেন কি-না, সেটা নির্ভর করে। ক্ষেত্রবিশেষে ত্রুটিপূর্ণ প্রোডাক্টও পেতে পারেন। তখন তারা রিফান্ড করবে কি-না, অথবা রিপ্লেসমেন্ট করবে কি-না, সেটা তাদের পলিসির ওপর নির্ভর করবে। তাই পণ্য কেনার আগে তাদের রিটার্ন/রিপ্লেসমেন্ট পলিসি কেমন, সেটা অবশ্যই জেনে নিন।

ফেসবুকভিত্তিক শপে কেনাকাটায় বাড়তি সতর্কতা

যেহেতু কোনো সময় কেউ ফেসবুকে পেজ তৈরি করে পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারে। তাই ফেসবুক পেজে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। প্রথমে পেজটি কত দিনের পুরনো। এরপর লাইকসংখ্যা, রিভিউ ভালোভাবে দেখে নিন। নেগেটিভ কমেন্টের সংখ্যা বেশি হলে সেখান থেকে কেনাকাটা না করাই ভালো। 

অভিযোগ

এতসব সতর্কতার পরেও প্রতারণার শিকার হলে তাৎক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করা উচিত। তখন তারা এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে এবং অন্যদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা বন্ধ হবে।