বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয় বাড়াতে ই-ক্যাব নির্বাচনে ওয়াসীম আলিম

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২২, ১৬:৪৩

চালডালের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াসীম আলিম
এবারের
ই-ক্যাব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলামেডসের পরিচালক এবং চালডালের প্রতিষ্ঠাতা
ওয়াসীম আলিম। তিনি ই-ক্যাব
নির্বাচনে দ্য চেঞ্জ মেকার্স
প্যানেল থেকে অংশ নিচ্ছেন।
ই-ক্যাবের সূচনালগ্ন থেকে ওয়াসীম আলিম
একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হয়ে কাজ করে
গেছেন। কিন্তু এবার তিনি ই-কমার্স সেক্টরে মানুষের আস্থা অর্জনে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।
এই লক্ষ্যে সরকার ও বিভিন্ন মহলের
অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান। সেসাথে
দেশি বা বিদেশি বিনিয়োগকে
সহজীকরণ; প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসার জন্য সহজ ও
সময়োপযোগী করনীতি; নীতিনির্ধারণে গতির সঞ্চার, আধুনিকায়ন
এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার সমন্বয় বাড়াতে তিনি ই-ক্যাব
নির্বাচনে দ্য চেঞ্জ মেকার্স
প্যানেলকে লিড দিচ্ছেন। ই-ক্যাবের শুরু থেকে কাজ
করছেন পিছন থেকে। বিগত
কমিটিতে তিনি গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স
কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে
অনেক নীতিনির্ধারণী আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং তার অবস্থান
থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠান চালডাল
কোভিড মহামারির সময় মানুষের সেবায়
বিশেষ অবদান রাখার সুযোগ পেয়েছে এবং এই সময়ে
সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণে দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ
রাখার সুযোগ পেয়েছে, যা পুরো ই-কমার্স সেক্টরের জন্য এক নতুন
অধ্যায় সূচনার সুযোগ করে দিয়েছে।
বাংলামেডসের
পরিচালক এবং চালডালের প্রতিষ্ঠাতা
ওয়াসীম আলিম বলেন, ‘নিজের
জন্য নয় ই-ক্যাবের
সাধারণ সদস্য এবং ই-কমার্স
ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতেই আমি
অংশগ্রহণ করেছি ই-ক্যাব নির্বাচনে।
আমি দ্য চেঞ্জ মেকার্স
প্যানেল থেকে অংশ নিচ্ছি।
আমার ব্যালট নং ২৫। আমি
আমার দীর্ঘ পথচলায় প্রতিদিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছি
ই-কমার্স সেক্টরের কোনো না কোনো
সমস্যা সমাধানে। পরিবর্তন যদি আসে এই
নির্বাচনে তাহলে আমি আমার সাধ্যমত
চেষ্টা করব এই সেক্টরের
সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করতে।’
কাস্টমারের
দরজায় পণ্য ডেলিভারি থেকে
শুরু করে মানুষের আস্থা
অর্জন-সবক্ষেত্রেই ওয়াসীম আলিম অসামান্য অবদান
রেখেছেন। ওয়াই কম্বিনেটর, আইএফসি, আইডিএলসিসহ অনেকগুলো দেশি ও বিদেশি
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে একটি বাংলাদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগকারী হিসেবে আনতে তিনি সক্ষম
হয়েছেন। দেশের অধিকাংশ প্রধান শহরে তার প্রতিষ্ঠানের
সেবা কাযক্রম বিস্তৃত এবং প্রতিনিয়ত এই
পরিসর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাড়ে তিন হাজারেরও
বেশি লোকের কর্মসংস্থান এবং ১২ লাখেরও
বেশি গ্রাহককে তিনি প্রতিনিয়ত সেবা
দিয়ে যাচ্ছেন। একটি সমৃদ্ধশালী দেশ
গড়ার প্রত্যয়ে তার প্রতিষ্ঠানসমূহ জাতীয়
রাজস্ব বোর্ড, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়,
এটুআই, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে একযোগে কাজ করছে।
উল্লেখ্য,
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে
ফিরে এসে ওয়াসীম আলিম
তার দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে একটি সফল ই-কমার্স প্লাটফর্ম তৈরির স্বপ্ন নিয়ে চালডাল শুরু
করেন। ২০২১ সালে চালডাল
বাংলামেডসকে অধিগ্রহণ করে এবং বর্তমানে
বাংলামেডস বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন গ্রোসারি প্লাটফর্ম চালডালের অংশ হিসেবে কাজ
করছে। ওয়াসীম আলিম যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি
অফ পেনসিলভেনিয়ার দ্য ওয়ার্টন স্কুল
থেকে ফিন্যান্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। চালডাল শুরু করার আগে
তিনি সান ফ্রান্সিস্কোতে অবস্থিত
উইকিনভেস্ট এবং সিগফিগ নামের
দুটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ডিরেক্টর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন।