‘উইকিপিডিয়াতেও ফেসবুক-ইউটিউবের মতো অপপ্রচার হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৪৬

পিআইবি আয়োজিত মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত।
সামজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক-ইউটিউবের মতো উইকিপিডিয়াতেও অপপ্রচার চালানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
গতকাল রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে পিআইবি আয়োজিত টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড, বাংলাদেশের (টিএমজিবি) সদস্যদের জন্য মোবাইল সাংবাদিকতা বিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, গতকালকেই (৩ সেপ্টেম্বর) আমার কাছে একটা রিপোর্ট এসেছে, আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী রিপোর্টটি পাঠিয়েছে। রিপোর্ট দেখে আমার মাথা চক্কর অবস্থা। সেটি হলো উইকিপিডিয়াও এখন ফেসবুক-ইউটিউবের মতো অপপ্রচার করছে। এটি কল্পনার বাইরে ছিলো।
তিনি বলেন, আমি এতোদিন পর্যন্ত জানতাম উইকিপিডিয়া বিশ্বস্ত একটা প্লাটফর্ম, জ্ঞানের একটা প্লাটফর্ম, বড় ভাণ্ডার। আমি মাঝে মাঝে উইকিপিডিয়ার রেফারেন্স দিতাম। কারণ বহু জায়গাতে খুঁজে দেখেছি যে, যেসব তথ্যগুলো কোথাও পাওয়া যায় না, উইকিপিডিয়ায় পাওয়া যায়।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, এতোদিন আমি অন্ধের মতো উইকিপিডিয়া বিশ্বাস করতাম, এখন কোনোভাবে উইকিপিডিয়া বিশ্বাস করেও চলার অবস্থা নেই। উইকিপিডিয়া তার যে নিরপেক্ষতা, বিশ্বস্ততা সেই জায়গাটা হারিয়ে ফেলেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, অনলাইন মিডিয়ার বিকাশের ফলে সাংবাদিকতার বর্তমান রূপ পরিবর্তন নতুন পৃথিবীর জন্য সূচনা মাত্র। ডিজিটাল প্রযুক্তি সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকতা আগামী দুনিয়ায় এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাবে যা এখন কল্পনাও করা যায় না।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশের ধারাবাহিকতায় আগামী দিনের দুনিয়ায় কম্পিউটারে কী বোর্ডের প্রয়োজন হবে না। কথা বললে সেটা শুদ্ধভাবে টাইপ হবে, বাংলা থেকে ইংরেজি, ইংরেজি থেকে বাংলায় শুদ্ধ অনুবাদ হবে ডিজিটাল যন্ত্রে।
বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রযুক্তিগত ও বিবর্তনের ইতিহাস রচনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে ডাটার ব্যবহার হবে গিগাবাইটে নয় টেরাবাইটে। বিবর্তনের ফলে যা কিছুই ঘটুক সাংবাদিকতায় অতীতের ধারাবাহিকতা বাদ দেওয়া যাবে না।
মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনলাইনে ব্যক্তিগত আড্ডার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। চা স্টলের দায়বদ্ধতাহীন আলোচনার মতোই সোশ্যাল মিডিয়ায় যার যা খুশি তাই লিখে। কিন্তু রেজিস্ট্রিকৃত নিউজ পোর্টাল বা সংবাদপত্রের দায়বদ্ধতা আছে।
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলতা ও গুজব প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, আমরা ২৬ হাজার পর্ণ সাইট এবং দুই হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিন এই কাজ করছি। গুজব প্রতিরোধেও কার্যকর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।
পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রের সদস্য আরাফাত সিদ্দিকী সোহাগ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিআইবি’র উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন, সহকারী প্রশিক্ষক ও এবারের কোর্সের সমন্বয়ক নাসিমূল আহসান। প্রশিক্ষণে টিএমজিবির ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।