Logo
×

Follow Us

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইমোতে বেড়েই চলেছে অবৈধ কর্মকাণ্ড

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২২, ১২:৫০

ইমোতে বেড়েই চলেছে অবৈধ কর্মকাণ্ড

ইমো। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগেমাধ্যমগুলোর মধ্যে ‘ইমোর’ জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে জনপ্রিয়তার সাথে সাথে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে ব্যাপক হারে। এতোদিন ইমোতে কেবল প্রতারণা ও হ্যাকিংয়ের অভিযোগ বেশি উঠতো। তবে সম্প্রতি এই যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে দেহব্যবসার মতো কর্মকাণ্ড চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, রাত ১২টা বাজলেই শুরু হয় এই কর্মকাণ্ড। 

দেহব্যবসা চালাতে ইমোতে খোলা হয়েছে একাধিক গ্রুপ। সেখানে দেহ পসারিণীদের নগ্ন ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য ও ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। সরাসরি নিলামের মাধ্যমে এই সকল মেয়েদের কিছু সময়ের জন্য কিনে নিতে পারেন যে কেউ। নিদিষ্ট বিকাশ নম্বরে টাকা দিলেই পছন্দ মত সঙ্গী পাওয়া যায়।

তবে সুনির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা না থাকায় এই পেজ ও ওয়েবসাইটগুলো কে বা কারা পরিচালনা করছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা যায়নি। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অনলাইনভিত্তিক এই গ্রুপগুলো বাসায় বা ফ্ল্যাট ও হোটেলে যৌনকর্মী সরবরাহ করার কথা বলছে। এমনকি শতভাগ সততা ও গোপনীয়তার সাথে কাজ করার নিশ্চয়তাও দেওয়া হচ্ছে।

ইনবক্সে ‘হাই বা হ্যালো’ বললে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ফিরতি বার্তা আসে। উত্তর দিলেই শুরু হয় দরদাম। নানা ধরনের অশ্লীল কথা।

এক ইমো যৌনকর্মী জানান, ‘রাস্তায় খাড়াইলে দালালগো টাকা দেওন লাগে। পুলিশ আইস্যা ঝামেলা করে। কিন্তু আমার এক বান্ধবী আমারে একটা ইমো আইডি করে দিছে। ওহানে ইচ্ছামতো কিছু লিইখা দিলে কাস্টমার পাওন যায়। আমার ওই বান্ধবী ইমোর সাথে সাথে আরো কিসের যেন গ্রুপ বানাইছে। ওহান থেইক্যাও কাস্টমার পাওন যায়।’

অনুমতি ছাড়া অনলাইনে শারীরিক সম্পর্কের জন্য খদ্দের খোঁজা কিংবা যৌনব্যবসা বাংলাদেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শিব্বির আহমেদ।

তিনি জানান, দণ্ডবিধি, সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল ও পুলিশ কমিশনারের অধীনে এ ধরনের অপরাধের মামলা ও বিচার করা যায়। অপরাধ প্রমাণিত হলে বিচারিক হাকিম দণ্ড দিতে পারেন। সাজার মেয়াদ অপরাধের ধরন অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক সৌদি প্রবাসী জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে সৌদিতে থাকি। আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে ভিডিও কলে ফোনসেক্স করে এমন একটি ইমো গ্রুপে সংযুক্ত হই। সারাদিন কাজ করে কিছু সময় সেখানে দিতাম। ৫১০ টাকা বিকাশে দিয়ে একদিন নারী সাথে ভিডিও কলে ফোনসেক্স করি। তার সাথে আমি ৩০ মিনিট ফোনসেক্স করি । পরে তিনি তার আইডি আমাকে দেয়, আমি আমার আইডি তাকে দেই। তিনি আমার সাথে কথা বলে সেটা রেকর্ড করে রাখে। তারপর থেকে ওেই নারী আমাকে ব্লাকমেইল করতে থাকে। সবশেষে এক লাখ ১০ হাজার টাকা আমার কাছে থেকে ওই নারী লুট করে নেন।

প্রবাসীদের অনেকেই দেশে থাকা স্বজনের সাথে যোগাযোগ করতে স্মার্টফোনে ‘ইমো’ অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। তাদের একটি বড় অংশ প্রযুক্তি বিষয়ে ততোটা সচেতন নন। এমন ব্যক্তিদেরই খুঁজে বের করে চক্রের সদস্যরা। দীর্ঘদিন থেকে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ইমো প্রতারণা মাধ্যমে দেশি ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে ইমো প্রতারক চক্র। তেমন কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দিনদিন বেড়েই চলেছে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫