নিউ শেপার্ড রকেটে ১০ মিনিটে মহাকাশ ঘুরে এলেন বেজোস

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২১, ১১:৩১

নিউ শেপার্ড রকেটের সামনে বেজোস (হ্যাট পরা) ও অন্যান্য নভোচারী। ছবি : বিবিসি
নিজের রকেট নিউ শেপার্ডে করে মহাকাশে ছোট-খাট ভ্রমণ করে ফিরেছেন অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস। তার এই রকেটে এবারই প্রথম কোনো ক্রু ফ্লাইট পরিচালনা করা হলো।
এ যাত্রায় তার সাথে ছিলেন তার ভাই মার্ক বেজোস, মহাকাশে পাড়ি দেয়ার দৌড়ের একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত ৮২ বছর বয়সী ওয়ালি ফাঙ্ক ও ১৮ বছর বয়সী একজন শিক্ষার্থী।
তারা এমন একটি ক্যাপসুলে করে এই ভ্রমণ করেছেন যার জানালাগুলো বড় থাকায় পৃথিবীর চমকপ্রদ দৃশ্য উপভোগের সুযোগ পেয়েছেন।
পরিভ্রমণ শেষে মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মাথায় ক্যাপসুলটি পৃথিবীতে ফিরে আসে। নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে জেফ বেজোস আনন্দে চিৎকার করে বলেন, ‘সেরা দিন!’
বেজোসের সংস্থা ব্লু অরিজিন এই নিউ শেপার্ড নামে রকেটটি তৈরি করেছে। এটি মহাকাশ পর্যটনের জন্য ক্রমবর্ধমান বাজারের চাহিদা পূরণের জন্যই নকশা করা হয়েছে। বেজোস ও তার বিলিয়নিয়ার স্পেস রেসের অন্য অংশগ্রহণকারীরা অবশ্য এর জন্য কিছুটা সমালোচনার মুখেও পড়েছেন। অনেকে এটাকে কিছু অতি-ধনীদের আনন্দ ভ্রমণ হিসেবে দেখছেন।
সমালোচকরা বলছেন, এই অর্থ কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যয় করা যেতে পারে। তবে বেজোস জোর দিয়ে বলেছেন, তার একটি পরিবেশগত পরিকল্পনাও রয়েছে।
মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল এমএসএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সমস্ত ভারী শিল্প, দূষণ ছড়ায় এমন শিল্পগুলোকে মহাকাশে স্থানান্তরিত করা উচিত। পৃথিবীকে অন্য গ্রহগুলোর মধ্যে সুন্দর রত্নের মতো করে গড়ে তোলা উচিত। এটি অর্জনে দশকের পর দশক সময় লাগবে, তবে তা শুরু করতে হবে ও বড় কিছুর শুরু ছোট ছোট পদক্ষেপেই হয়। এই উপকক্ষ পথে পরিভ্রমণ আমাদের সেই সুযোগটিই করে দিচ্ছে, আমাদের বার বার অনুশীলন করার সুযোগ দিচ্ছে।
এই ফ্লাইটে মহাকাশে যাওয়া সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তি ছিলেন ওয়ালি ফাঙ্ক ও সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তিও ছিলেন, যার নাম অলিভার ডিমেন।
টেক্সাসের ভ্যান হর্নের কাছে একটি ব্যক্তিগত উৎক্ষেপণ সাইট থেকে মহাকাশযানটি ব্রিটিশ সামার টাইম ১৪:১২ তে উড্ডয়ন করে।
উড্ডয়ন পরবর্তী একটি সংবাদ সম্মেলনে জেফ বেজোস বলেন, আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল এবং সেগুলো নাটকীয়ভাবে ছাড়িয়ে গেছে।"
উড্ডয়নের দু'মিনিট পরে ক্যাপসুলটি তার রকেট থেকে আলাদা হয়ে কার্মান লাইনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে- এটি স্থান মহাকাশের সীমানা হিসেবে স্বীকৃত এবং এটি পৃথিবী থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত। ফ্লাইটের পরে ব্রিফিংয়ে চার মিনিটের ওজনহীনতার সময় ক্যাপসুলে থাকা আরোহীরা ডিগবাজি খাচ্ছেন, উল্টে পড়ে যাচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও দেখানো হয়। -বিবিসি