
ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর অপরূপ সুন্দর এক লীলাভূমি। ছবি: সংগৃহীত
ভ্রমণ মানুষের মনে প্রশান্তি আনে। সময় সুযোগ করে তাই বেরিয়ে পড়তে পারেন প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে পছন্দের কোনো জায়গায়। বাংলাদেশ মানেই পরতে পরতে অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। শুধু চোখ মেলে দেখতেই ইচ্ছে করবে। সিলেট তার মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা। ৩৭০ আওলিয়ার এই শহরে এলে কেউ মন খারাপ করে ফিরবে না। খুব গোছানো শহর এই পুণ্যভূমিতে কয়েকটি দিন কেটে যাবে অনায়াসে।
তবে আজকে শুধু সাদা পাথরের কথা বলব। ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা এই অপরূপ সৌন্দর্য কিছুটা সময়ের জন্য হলেও ভুলিয়ে দেবে সব দুঃখকষ্ট। সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কোম্পানীগঞ্জ থানার অধীনে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর অপরূপ সুন্দর এক লীলাভূমি। এখানে বাংলাদেশ রেলওয়ের এখানে একটি বড় স্থাপনা আছে ৩৬০ একর জায়গা নিয়ে। এক সময় এখান থেকে রোপওয়ে দিয়ে পাথর ছাতকে পাঠানো হতো। দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবস্থা বন্ধ আছে।
ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথরে যাওয়ার নৌকা ভাড়া পড়বে আটশ টাকা। অনায়াসে ৮/১০ জন এই নৌকায় সাদা পাথরে যাওয়া যায়। সাদা পাথরে সব চেয়ে বড় সৌন্দর্য হচ্ছে পাহাড় থেকে নেমে আসা নানা বর্ণের বড়-ছোট পাথর। পর্যটন কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় এখানে সেই শীতল পানির ধারা অব্যাহত রাখতে একদল কর্মী প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।
পাহাড় ঘেরা সীমান্তে দাঁড়িয়ে চোখে ভেসে উঠবে ওপারে ভারতের অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। শীতল পানিতে দুপা ডুবিয়ে সব ভুলে কাটাতে পারেন অনায়াসে কয়েক ঘণ্টা। তবে পায়ে অবশ্যই রাবারের স্যান্ডেল থাকা ভালো। আর ছাতা রাখতে ভুলবেন না। সব মিলিয়ে সময় এখানে থেমে যায়। এক সময় মনে হবে এখানেই থেকে যাই। তাই যারা সাদা পাথরে যাবেন হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে যাবেন। এখানেও খাবারের নানা ব্যবস্থা রয়েছে।
সাদা পাথরে যাওয়ার জন্য আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে বিআরটিসি বাস যায় সকাল থেকে প্রতি ৩০ মিনিট পরপর। ভাড়া ৯০ টাকা। আর নিজেরা গেলে গাড়ি ভাড়া পড়বে তিন হাজার টাকা। বড় দল হলে মাইক্রোবাস নিতে পারেন, তখন ভাড়া একটু বেড়ে যাবে।