পর্যটনবান্ধব দেশের তালিকায় ৫ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১০:০৮

বান্দরবানের নীলগিরি। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
পর্যটনবান্ধব দেশের তালিকায় পাঁচ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪০টি দেশের মধ্যে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১২০ নম্বরে আছে বাংলাদেশ। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ২০১৯ সালের ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কম্পিটিটিভ রিপোর্টে ভ্রমণ ও পর্যটনে সেরা দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পর্যটকদের জন্য উড়োজাহাজ পরিবহন, আবাসন, নিরাপত্তা, সংস্কৃতি ও স্থিতিশীল ভ্রমণের সুযোগগুলোর মধ্যে ৯০টি মানদণ্ড বিবেচনা করে ১৪০টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন। এরপরই রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা ও সুইজারল্যান্ডের মতো দেশ। সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ৩৪ নম্বরে পার্শ্ববর্তী ভারত, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৭৭, নেপাল ১০২ ও পাকিস্তান ১২১।
এবারের বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আলোচনার টেবিলে পর্যটনের চারটি দিক গুরুত্ব পেয়েছে। এগুলো হলো প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ, বিমান পরিবহন পরিকাঠামো, জাতীয় ভ্রমণ ও পর্যটন নীতি এবং উপযুক্ত পরিবেশ (নিরাপত্তা থেকে শুরু করে শ্রমবাজারের স্বাস্থ্যবিধি)।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক বিশ্লেষণে এশিয়া-প্যাসিফিকে নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বৃদ্ধির ফলে ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ বেশ সুবিধাজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রাকৃতিক সম্পদ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সুবাদে বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিবেদনে। ফলে এখানকার পর্যটন শিল্পে উল্লেখযোগ্য উন্নতির আভাস রয়েছে।
তবে ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কম্পিটিটিভ রিপোর্ট অনুযায়ী, অনুন্নত পর্যটন সেবা অবকাঠামো, বায়ুদূষণ ও জলাবদ্ধতা বাংলাদেশের সামগ্রিক আকর্ষণকে ম্রিয়মাণ করে রাখে। এসব কারণে দেশের প্রাকৃতিক পর্যটন হুমকির মুখে পড়ে। বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য বৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান বনভূমি হ্রাস করার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ পর্যটনের বিকাশে সুফল বয়ে আনতে পারে।