
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টের কটেজ।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার রাজবাড়ি এলাকায় ২৫ বিঘা জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। শিল্পী দম্পতি তৌকির আহমেদ ও তার স্ত্রী বিপাশা হায়াতের যৌথ উদ্যোগে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট নির্মিত হয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট একটি ভালবাসার নাম। প্রকৃতির পরশ ও দৃষ্টিনন্দন স্থান দেখা যায় বলে ছুটির দিনগুলোতে অনেক ভিড় হয় এই রিসোর্টে।
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে উপভোগ করা যায় অনেক কিছু। দিঘী, কৃত্রিম ঝর্ণা, কনফারেন্স রুম, সুইমিংপুল, কটেজ, খাবারের হোটেল ইত্যাদি। কটেজগুলো বেশ সুন্দর ও শিল্প সমৃদ্ধ। কারণ পুকুরের পানির উপর বাঁশ ও কাঠের সমন্বয়ে ১১টি কটেজ নির্মাণ করা হয়েছে। কটেজগুলো নির্মাণে গজারি কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি কটেজ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
সুইমিংপুলে আনন্দঘন সময় কাটাতে পারবেন। প্রত্যেক পরিবারের তিনজন সদস্যকে ফ্রি সুইমিংপুল ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। তিনজনের বেশি হলে ফি দিয়ে সুইমিংপুলে নামতে হয়।
নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে আরো দেখতে পাবেন শুটিং স্পট, বাচ্চাদের খেলার স্থান, মুভি থিয়েটার, নৌকা, পুকুর, মাছ ধরার ব্যবস্থা। বইপ্রেমীদের জন্য রয়েছে লাইব্রেরি। বলা যায়, অবকাশ যাপনের জন্য উপযুক্ত সব স্থান পাবেন এই রিসোর্টে।
যা যা উপভোগ করবেন
চমৎকার, রুচিশীল কটেজ, পুকুর, লেক, লাইব্রেরি ছাড়াও আপনি উপভোগ করতে পারবেন ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, ব্যাঙের ডাক। সন্ধ্যায় জোনাকিদের জ্বল জ্বল করা আলোয় বিমোহিত হয় পুরো রিসোর্ট। পূর্ণিমা রাতে মন মাতানো পূর্ণিমা উপভোগ করতে পারবেন। বাদল দিনে কটেজ থেকে বৃষ্টি উপভোগ করতে পারবেন। প্রায় সন্ধ্যায় উপভোগ করতে পারবেন বাউল গানের আসর। তাছাড়া পেইন্টিং প্রদর্শনীও হয় মাঝে মাঝে।
ভাড়া
১ দিনের জন্য পানির উপরের কটেজের ভাড়া ১০ হাজার ৭৫২ টাকা। ফ্যামিলি বাংলোয় থাকা যাবে ২৭ হাজার ৮৩০ টাকায়, হোটেল কমপ্লেক্সে থাকা যাবে ৬ হাজার ৩২৫ থেকে ৮ হাজার ২২২ টাকায়।
যেভাবে যাবেন
নিজস্ব পরিবহনে করে সহজে যাওয়া যায়। বাসে গেলে গাজীপুর চৌরাস্তা হয়ে ঢাকা-কাপাসিয়া মহাসড়কের রাজবাড়ী বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বাঙালপাড়া গ্রামে এই রিসোর্টটি অবস্থিত। রিকশা বা অন্য যেকোনো যান দিয়ে যেতে পারবেন।