
খেজুর গাছ থেকে রস আহরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন লক্ষ্মীপুরের গাছিরা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু পানীয় খেজুরের রস প্রতিদিন সকালে তারা খেজুর গাছ থেকে আহরণ করছেন। শীত বাড়লে গাছে রসের পরিমাণও বেশি হয়। রস আহরণ ও বিক্রি করে এ মৌসুমে অনেকেই নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররুহিতা ও কমলনগর উপজেলার চরমার্টিনসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রস আহরণের জন্য গাছিরা প্রতিদিন বিকেলে খেজুর গাছ পরিষ্কার করে কলসি কিংবা প্লাস্টিকের বোতল বাঁধেন।
বিকেল থেকে ভোর পর্যন্ত হাঁড়িতে ফোঁটায় ফোঁটায় জমে থাকা রস আহরণে সকালে প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশার মধ্যে গাছ থেকে রসের হাঁড়ি সংগ্রহ করেন গাছিরা। পরে সংগ্রহ করা রস গাছিরা বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করেন। কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নে গাছি হিসেবে কাজ করেন সহিদ।
তিনি জানান, ২০-২৫ বছর ধরে শীত মৌসুমে খেজুর গাছ থেকে তিনি রস আহরণ করছেন। এ মৌসুমে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে রস সংগ্রহে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
এছাড়া গাছের সংখ্যাও দিন দিন কমে যাচ্ছে। এবার রস আহরণের জন্য তিনি চুক্তি ভিত্তিতে ১০টি গাছের দায়িত্ব নিয়েছেন। প্রতিটি গাছ থেকে তিনি দৈনিক তিন-চার কেজি রস আহরণ করেন। প্রতি হাঁড়ি (১০-১২ কেজি) রস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. বেলাল হোসেন জানান, খেজুর রস ও গুড়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কৃষককে জমির আইলের পাশে খেজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ও খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চাহিদামতো পর্যাপ্ত রসের জোগান দিতে পারছেন না এ অঞ্চলের গাছিরা।