পুলিশি পাহারায় বাসায় গেলেন বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৮

চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ ও এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
টানা সাত ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশি পাহারায় নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে যান বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রফিকুল আলমসহ পর্ষদ সদস্যরা।
গতকাল রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে পুলিশ তাদের বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে নিরাপত্তা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দেয়। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা চলে যাওয়ার পরপরই বিক্ষোভকারীরাও চলে যান।
এর আগে গতকাল বিকেল ৪টায় রাজধানীর সেনা কল্যাণ ভবনে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভায় বসে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
বিকেল থেকেই বেতন কমানোর সার্কুলার বাতিলের দাবিতে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেন বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা। তারা সভা কক্ষের বাইরে অবস্থান নেন। এ সময় বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পর্ষদের আরো ছয় পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
বেতন কমানোর সার্কুলার বাতিল না করলে তাদের বের হতে দেয়া হবে না বলে জানান ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তাদের দাবি, ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী বেতন কাঠামো দেখে আমরা নিজ যোগ্যতায় চাকরি নিয়েছি। এখন বেতন কমানো অযৌক্তিক। বোর্ডের অদক্ষতা, অযোগ্যতা, অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে ব্যাংক লোকসানে পড়েছে। পর্ষদের ব্যর্থতার দায়ভার আমরা নেব কেন? এটা আমরা মানি না। তাই অনতিবিলম্বে বেতন কমানোর সার্কুলার বাতিলের দাবি জানান কর্মীরা।
এরপর রাত ১০টার দিকে আন্দোলনকারী প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন বেসিকের পরিচালনা পর্ষদ। একইসঙ্গে এ সময় সেনা কল্যাণ ভবনের সামনে অবস্থান নেয় পুলিশ।
বৈঠকে আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দেন, আগামী বোর্ড মিটিংয়ে তাদের দাবি বিবেচনা করা হবে। পর্ষদের এই আশ্বাস বাইরে অবস্থানরত আন্দোলনকারী কর্মীরা না মেনে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরবর্তীতে রাত পৌনে ১১টার সময় পুলিশি পাহারায় বেরিয়ে যান পর্ষদ সদস্যরা।
এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যতা রেখে বেতন কাঠামো নির্ধারণের নির্দেশনা জারি করেছিল বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এর ফলে কমে যাবে ব্যাংকটির সর্বস্তরের কর্মীদের বেতন। এ কারণে বেসিক ব্যাংকে কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এরপর থেকেই নিয়মিত বিক্ষোভ করছে বেসিক ব্যাংকের কর্মীরা।