শীতে শিশুদের নিউমোনিয়া থেকে প্রতিরোধে করণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৯

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু। ফাইল ছবি
শীতকালে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে নানান বয়সের মানুষ। তাদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। শীতে শিশুদের শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কিওলাইটিস ও নিউমোনিয়াসহ নানা ধরনের শ্বাসতন্ত্রজনিত অসুখ হয়ে থাকে। এসবের মধ্যে নিউমোনিয়া খুবই জটিল রোগ। নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের রোগ যেকোনো বয়সে যে কারও হতে পারে। কিন্তু শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় এই মারাত্মক রোগটি।
নিউমোনিয়া হলে শুরুতে অনেকেই বুঝতে পারেন না বিষয়টি। কিন্তু যখন বুঝতে পারা যায়, তখন কিছুটা দেরি হয়ে গেলে সমস্যা আরও ভয়ংকর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আসেন জেনে নেই নিউমোনিয়া কী ও তার থেকে সুরক্ষ পেতে করণীয় কাজগুলো-
নিউমোনিয়া কী: নিউমোনিয়া হচ্ছে একপ্রকার ফুসফুসের ইনফেকশন। যা শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহের জন্য হয়ে থাকে। আর প্রদাহ যখন জীবাণুঘটিত বা সংক্রমণজনিত কারণে হয়ে থাকে, তখন এটাকে বলা হয় নিউমোনিয়া।
নিউমোনিয়া থেকে সুরক্ষ পেতে করণীয়: এখন নিউমোনিয়া প্রতিরোধে কিছু ভ্যাকসিন বের হয়েছে। কেউ যদি সময়মত ভ্যাকসিনগুলো নিতে পারেন, তাহলে ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়া প্রতিরোধ সম্ভব। তবে এ জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।
সুস্থ শিশুকে সবসময় নিউমোনিয়া আক্রান্তদের থেকে দূরত্বে রাখতে হবে। আর শীতের সময় সবসময় গরম কাপড় পরাতে হবে শিশুকে। শরীর গরম থাকে এমন পোশাক দেয়ার পাশাপাশি ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন। ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে মুখে মাস্ক পরাতে পারেন। অভিভাবক হিসেবে শিশুকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। খাবার খাওয়ার আগে এবং বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধুতে হবে।
শীতের সময় যদি শপিংমল, সিনেমা হল বা বাস ভ্রমণের প্রয়োজন হয়, তাহলে শিশুকে না নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন। শিশুর বয়স যদি ৬ মাসের কম হয় এবং সে যদি বুকের দুধ পান করে, তাহলে নিউমোনিয়া হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই প্রতিহত করতে পারবে সে। আর যাদের বয়স ৬ মাসের বেশি, তাদের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি সম্ভব হলে খিচুড়ি, রকমারি ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। এতে শরীরে পুষ্টি ঠিক থাকবে।
শীতে শিশুর যেন নিউমোনিয়া না হয়, এ জন্য গোসলের সময় কুসুম গরম পানি নিন। আর গোসলের পানিতে স্যাভলন, ডেটল বা এ জাতীয় কোনো জীবাণুনাশক ব্যবহার করা ঠিক নয়। গোসলের পর কোমল টাওয়েল দিয়ে শরীর মুছে নিয়ে অলিভ অয়েল ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ তেল মাখিয়ে দিন। তবে তেল বা লোশন যেন সুগন্ধি, অ্যালকোহল বা কোনো কেমিক্যালযুক্ত না হয়।
এছাড়া শীতে শিশুর ডায়াপর কিছুক্ষণ পর পর বদলাতে হবে। ভেজা ডায়াপার দীর্ঘক্ষণ পরলে অ্যালার্জির মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ দেয়া যেতে পারে।