প্রেগন্যান্সিতে ক্লান্তি দূর করবেন যেভাবে

প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থা অন্যান্য সময়ের মতো নয়। এসময় শরীরে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। গর্ভাবস্থায় মায়েরা খুব সহজেই ক্লান্তি বোধ করেন। বিশেষ করে গর্ভের প্রথম ১২ সপ্তাহে ও শেষ দিকে। কনসিভ করার পরপর মায়ের শরীরে যে হরমোনের তারতম্য ঘটে, এর জন্যই মায়েদের কিছু উপসর্গ দেখা দেয়; যেমন- ক্লান্ত হওয়া, বিষণ্ন বোধ করা, জ্বর জ্বর লাগা ইত্যাদি। তবে ক্লান্তি দূর করার জন্য কিছু কাজ করতে হবে-

সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন: পুষ্টির উপর মনোযোগ দিন। পুষ্টিকর খাবার শক্তির স্তরে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। দানাশস্য, চর্বিহীন প্রোটিন, ফল, শাক-সবজি এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি খান। আয়রন এবং ফোলেট গ্রহণ বৃদ্ধি করুন। পালং শাক, মসুর ডাল, মটরশুটির মতো খাবার রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। শোষণ বাড়ানোর জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে কমলা বা বেল পেপারের মতো ভিটামিন সি উৎস যুক্ত করুন। ডিহাইড্রেশন ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই সারাদিন প্রচুর পানি পান করা অপরিহার্য।

বিশ্রামকে অগ্রাধিকার দিন: আপনার শরীরের কথা শুনুন। যদি আপনি ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে প্রয়োজনে একটু ঘুমান বা বিশ্রাম নিন। প্রতি রাতে কমপক্ষে ৮-৯ ঘণ্টা মানসম্পন্ন ঘুমের লক্ষ্য রাখুন। ছোট বিরতি নিন। সারাদিন ধরে রিচার্জ করার জন্য ছোট ঘুম বা শান্ত মুহূর্ত অন্তর্ভুক্ত করুন।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ: গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, ধ্যান বা মননশীলতার মতো শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করলে মানসিক চাপ কমতে পারে। সঙ্গী, বন্ধুবান্ধব বা কোনো প্রিয়জনের সঙ্গে উদ্বেগ শেয়ার করলে তা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

নিয়মিত ব্যায়াম: হাঁটা, প্রসবপূর্ব যোগব্যায়াম, অথবা সাঁতারের মতো হালকা শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করলে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত হয়। হালকা ব্যায়াম কেবল ক্লান্তি মোকাবিলায়ই সাহায্য করে না বরং ভালো ঘুমেরও উন্নতি করে এবং চাপ কমায়।

ক্যাফেইন সীমিত করুন: গর্ভাবস্থায় অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন (প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম বা তার কম) নিরাপদ বলে মনে করা হলেও, অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং আরও বেশি ক্লান্তি হতে পারে।

ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলুন: যদি ক্লান্তি তীব্র বা স্থায়ী হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রক্তস্বল্পতা, থাইরয়েড রোগ বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের মতো অন্তর্নিহিত সমস্যার জন্য পরীক্ষা করতে পারেন এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারেন।

দৈনন্দিন রুটিন সামঞ্জস্য করুন: শক্তি নিঃশেষ করে এমন কার্যকলাপে অতিরিক্ত ব্যস্ততা এড়িয়ে চলুন। ঘরের কাজগুলো ভাগ করে নিন এবং নিজেকে বিশ্রামের জন্য সময় দিন। বড় কাজগুলোকে ছোট, পরিচালনাযোগ্য পর্বে ভাগ করে নিন এবং মাঝে মাঝে বিরতি নিন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2025 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh