
ওজন বৃদ্ধির কারণেও ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আজকাল অনেকেই ‘ফ্যাটি লিভার’ সমস্যায় ভূগছেন। দিনের পর দিন ফাস্ট ফুড খাওয়া কিংবা স্থূলতার কারণে এ ধরনের সমস্যা হয়। অনেক সময় ওজন বৃদ্ধির কারণেও এ সমস্যা হয়। এছাড়া ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
এ সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে খাদ্যতালিকায় কিছু খাবারের উপস্থিতি রাখতে হবে সব সময়। যা ফ্যাটি লিভার সমস্যা উপশমে বেশ উপকারি। যেমন-
১. নিয়মিত খাদ্য তালিকায় অলিভ অয়েল,অ্যাভোকাডো এবং বাদাম রাখুন। কারণ এগুলোতে মনো আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড আছে, যা লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
২. মাঠা বা ছানার পানি নিয়মিত পান করুন। লিভারের চর্বি এবং লিভার এনজাইমের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে হোয়ে প্রোটিন (দুধের প্রোটিন) বেশ কার্যকর।
৩. গ্রিন টিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা “ক্যাটেকাইন” নামে পরিচিত। যা লিভারের চর্বি এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং কিছু যৌগ লিভারে ফ্যাট জমা থেকে রক্ষা করে। লিভার ভালো রাখতে ব্লাক কফি এবং গ্রিন টি দুটোই রাখতে পারেন পানীয় হিসাবে।
৪. প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ১০-১৫ গ্রাম দ্রবনীয় খাদ্য আঁশ অন্তর্ভুক্ত করলে লিভারের চর্বি কমার পাশাপাশি লিভার এনজাইম মাত্রা স্বাভাবিক হওয়া ছাড়াও ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। ওটস, ওটমিল, শিম, ডাল, বার্লি, শাকসবজি, ফলের মধ্যে গাজর, আপেল, কমলা দ্রবনীয় খাদ্য আঁশের ভালো উৎস।
৫. তৈলাক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ। তৈলাক্ত মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড লিভারে অতিরিক্ত চর্বি গঠনে বাধা প্রদান করে এবং লিভার এনজাইমের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই যাদের ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে তারা সপ্তাহে অন্তত দুই দিন তৈলাক্ত মাছ যেমন ইলিশ, টুনা, সারডিন, কড মাছ খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
৬. যকৃত বা লিভার ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে পানি পান করা। লিভার ভালো রাখতে অবশ্যই সঠিক পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা আবশ্যক।