-67874eac9c652.jpg)
প্রতীকী ছবি।
আমরা অনেকেই মনে করি যে ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ ভাত। তাই ভাতের বিকল্প হিসেবে এখন অনেকেই দুপুরে বা রাতে রুটি খেয়ে থাকেন। এগুলো আবার কারও কারও জন্য অন্য সমস্যা তৈরি করে। কারণ, আটা বা ময়দায় থাকে গ্লুটেন। যা হজমে সমস্যা করে। কিন্তু ভাতে সেই সমস্যা থাকে না।
ভাতের কার্বোহাইড্রেট শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলেন ভাত সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়ার কোনো দরকার নেই। আপনার পছন্দের খাবারের তালিকায় যদি ভাত থাকে তবে তা বাদ না দিয়েও ওজন কমানো সম্ভব। সেজন্য আপনাকে কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকায় ভাত রাখুন, কেবল এই বিষয়গুলো মেনে চললেই আর ওজন কমানো নিয়ে চিন্তা করতে হবে না-
পরিমিত খান: প্রতিদিন এক কাপ ভাত খান। অতিরিক্ত না খেয়ে ভাত উপভোগ করার এটি সবচেয়ে সহজ উপায়। ভাত বেশি খেলে তখন তা ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই ভাত পুরোপুরি বাদ না দিয়ে বরং পরিমিত খান।
রান্নার সঠিক পদ্ধতি বেছে নিন: ফ্রায়েড রাইসের পরিবর্তে স্টিম রাইস বেছে নিন। বোনাস পয়েন্টের জন্য প্রচুর পানিতে ভাত রান্না করে এবং অতিরিক্ত পানি ঝরিয়ে স্টার্চ ছেঁকে নিন। যেমনটা সাধারণত আমাদের দেশে রান্না করা হয়। এভাবে রান্না করা হলে বাড়তি ক্যালোরি কম যোগ হবে, তবে পুষ্টিও অনেকটা কমে যাবে তাতে সন্দেহ নেই।
প্লেটে ভারসাম্য করুন: থালায় যতটুকু ভাত নেবেন ততটুকু বা তার থেকে বেশি শাক-সবজি, ডিম, মাছ, মুরগি কিংবা ডাল নিন। অনেকে কেবল সামান্য তরকারি বা ভর্তা দিয়ে গোটা দুই থালা ভাত খেয়ে নেন। এমনটা করবেন না। সুষম খাবার কেবল পুষ্টিকরই নয় বরং আপনাকে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাতেও সাহায্য করবে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।