
সুস্থতাই সকল সুখের মূল। অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া, অতিরিক্ত ওজন কখনোই সুস্বাস্থ্য এনে দেয় না। বরং নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, আদর্শ ওজন সুস্থতার পরিচায়ক।
রোগমুক্ত তথা সুস্থ থাকতে হলে কতগুলো নিয়ম মেনে চলা জরুরি। নিয়মগুলো হলো:
রাত না জাগা
সুস্থ থাকতে হলে রাত না জেগে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। ঘুমানোর একঘণ্টা আগে থেকে মোবাইল, ল্যাপটপ, টেলিভিশন থেকে দূরে থাকুন।
প্রার্থনা করা
ঘুম থেকে উঠে নিজ ধর্মানুযায়ী সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন। এতে আপনি প্রচুর মানসিক প্রশান্তি পাবেন। আর এই প্রশান্তি আপনাকে চাপমুক্ত রাখবে।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
প্রতিবেলায় খাওয়ার আগে, মল-মূত্র ত্যাগের পর সঠিক নিয়মে সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করুন। ঘরে ও বাইরে পরার পোশাক গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।নিয়মিত দুইবার দাঁত ব্রাশ করুন। মোটকথা সার্বিক পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করুন।
হাঁটা
হাঁটা উপযুক্ত ব্যায়াম। তাই সময় পেলেই হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে।
পুষ্টিকর খাবার
রোজ পুষ্টিকর তথা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। বেশি করে মৌসুমী শাক-সবজি, ফল-মূল খান। পরিমিত পরিমাণে ভাত বা রুটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করুন।
পর্যাপ্ত পানি
ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন একগ্লাস পানি পান করুন। পাশাপাশি সারাদিনে মোটামুটি ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এতে আপনার বৃক্ক সঠিকভাবে কর্মক্ষম থাকার পাশাপাশি ত্বকের লাবণ্য বাড়বে।
মশলাযুক্ত খাবারকে বিদায়
অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার ও অধিক চর্বিযুক্ত লাল মাংস এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে টার্কি বা মুরগির মতো কম চর্বিবিশিষ্ট মাংস খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড, বাইরের খোলা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রভৃতি যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। তাছারা ধূমপান, মদপানকে না বলুন।
ইতিবাচক চিন্তা
নেতিবাচক চিন্তা না করে সবসময় ইতিবাচক থাকুন। ইতিবাচকতা আপনার মানসিক চাপ কমাবে। পারিবারিক ও পেশাগত কাজের বাইরে ভালো লাগার কাজ করুন।