Logo
×

Follow Us

স্বাস্থ্য

যেসব কাজে কমতে পারে স্মৃতিভ্রংশের আশঙ্কা

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৩

যেসব কাজে কমতে পারে স্মৃতিভ্রংশের আশঙ্কা

প্রতীকী ছবি

মনের যত্ন নেয়ার কথা বারবার উঠছে। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে যত চিন্তা-ভাবনা বেড়েছে, ততই বেশি করে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গও উঠে আসছে। বয়স্ক মানুষরাও আগে যেমন বাইরে ঘুরে হেঁটে খানিক সময় কাটাতেন, করোনার কারণে সেটাও প্রায় বন্ধ। ফলে তাদের মধ্যে বাড়ছে ডিমেনশিয়ার মতো মানসিক রোগের প্রবণতা।

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, বিভিন্ন কারণে স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বহু দেশেই। 

ডিমেনশিয়ার মতো রোগের নিয়ন্ত্রণ তো আমাদের হাতে নেই। তবে এই রোগের ঝুঁকি কিন্তু আমরাই রুখে দিতে পারি। দৈনন্দিন রুটিনে এমন কিছু কিছু কাজ যোগ করা যেতে পারে, যা এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। আর সেই কাজগুলো বয়স কম থাকাকালীনই শুরু করতে হবে। 

বেশ কিছু গবেষণা অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মধ্যে স্মৃতি হারানোর প্রবণতা বেশি। তবে কাজের মধ্যে দিয়েও নেয়া যায় মানসিক যত্নের। বাড়ির কাজের মধ্যে দিয়েও হতে পারে মনের যত্ন। ভালো থাকতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য।

গবেষণা বলছে, ঘরের রোজকার কিছু কাজ ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে আনতে সক্ষম। কারণ ঘরোয়া কাজ মস্তিষ্কের আয়তন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যারা অনেক বেশি শরীরচর্চা করেন, তাদের তুলনায় যারা ঘরের কাজ করেন, তাদের মস্তিষ্কের আয়তন বেশি হয়।

জেনে নেয়া যাক কোন কোন কাজ বেশি করে করা দরকার...

রান্নাবান্না

রান্নার মতো সৃজনশীল কাজ কমই আছে। মানসিক চাপ কাটানোর জন্য রান্নার জুড়ি মেলা ভার। এই অভ্যাসে মন চাঙ্গা হয় ও মানসিকভাবেও সুস্থ থাকা যায়। রান্নাবান্না করলে মস্তিষ্কের সামনের দিকের অংশ বা ফ্রন্টাল লোবের ক্ষমতা বাড়ে। আর রান্নায় যে সব মশলা অথবা ভেষজ আমরা ব্যবহার করি, তাদেরও তো গুণাগুণ রয়েছে এবং এই সব মশলা স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কার্যকর। সব থেকে বড় কথা হলো, কোনও রেসিপি বানাতে গেলে তাতে মনঃসংযোগেরও প্রয়োজন হয়। যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়িয়ে তোলে।

ঘরদোর পরিষ্কার করা

ঘরদোর পরিষ্কার করা বা সাফাইয়ের কাজের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মানসিক চাপ ও উত্তেজনা কমাতে এবং মেজাজ ফুরফুরে রাখতে ঘরের সাফাই খুবই উপযোগী। আসলে ঘরদোর পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখাটা অনেকটা মেডিটেশনের মতো। যা মনঃসংযোগ অনায়াসে বাড়াতে সাহায্য করে ও মনে আনন্দ আনে।

ঘর গোছানো

গবেষণা বলছে, ঘরদোর অগোছালো থাকলে মন খারাপ লাগে। এমনকি চারপাশ অগোছালো থাকলে তা অনেক সময় ডিপ্রেশনের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। তাই আশপাশ ও ঘরের সব কিছু পরিপাটি থাকলে মনটাও ভাল হয়ে যায়। সেইসঙ্গে মানসিক চাপও কেটে যায়। তাই যারা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত, তারা মুড স্যুয়িং হলে ঘর পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখার কাজ করে দেখা যায়। নিমেষে মন ভালো হয়ে যাবে।

বাগান করা

বাগানের কাজ করলে মানসিক চাপ কমে। মন ও শরীর সতেজ হয়। তার ফল পায় মস্তিষ্ক। চারপাশের চাপর প্রভাব কম পড়ে মস্তিষ্কের উপর।

এছাড়া জামা-কাপড় ধোয়া, বাসন মাজা- এই ধরনের ঘরোয়া ভারী কাজও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। ডিপ্রেশনের মতো রোগের উপসর্গ উপশম করতে খুবই উপকারী। মন ভালো থাকে। তবে যাদের হাঁটু ব্যথা অথবা অস্থিজনিত সমস্যা, তাদের এই সব ভারী কাজ না করাই ভালো।

এভাবে নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিলে বেশি বয়সে স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। 


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫