
রক্তে কোলেস্টেরল। ছবি: সংগৃহীত
ব্যস্তময় এ জীবনে নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি আমরা অনেকেই সচেতন নই। সঠিক নিয়মে না চলার কারণে শরীরে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মতো অসুখ বাসা বাধে। কোলেস্টেরল বাড়ার কোনো বয়স নেই। কোলেস্টেরল গোপন শত্রুর মতো শরীরে বাড়তে থাকে। কোলেস্টেরল বাড়লে স্ট্রোক ও হৃদরোগের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
দেহে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বোঝার সবচেয়ে ভালো উপায় রক্ত পরীক্ষা। তবে কিছু লক্ষণ আছে যা দেখে বোঝা যায় কোলেস্টেরল বাড়ল কি না।
যেসব লক্ষণে বোঝা যায় শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে:
১. কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে পায়ের টেন্ডন লিগামেন্টগুলোতে প্রভাব পড়ে। এতে পায়ের ধমনিগুলো সরু হয়ে যায়। পায়ের নিচের অংশে অক্সিজেনসহ রক্ত পৌঁছাতে পারে না। তাতে পা ভারী হয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে সহজেই। পায়ের অসম্ভব যন্ত্রণা শুরু হয়। উরু বা হাঁটুর নিচে পেছনের দিকে ব্যথা হতে পারে। হাঁটার সময়েই এই ধরনের ব্যথা বাড়ে।
২. কোলেস্টেরল বাড়লে ঘাড় ও হাতের সংযোগস্থলেও ব্যথা হয়। খুব ঘন ঘন একই স্থানে ব্যথা হলে একটু সতর্ক থাকুন।
৩. নিতম্বেও ব্যথা উচ্চ কোলেস্টেরলের লক্ষণ। যদি মাঝে মাঝেই নিতম্বে ব্যথা হয় তা হলে কিন্তু সেই লক্ষণ ভালো নয়।
৪. রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে চোখের কিছু উপসর্গ থেকে তার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। চোখের নীচে বা চোখের পাতায় ব্যথাহীন ফোলা অংশ দেখা দিলে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া ভালো। এটি রক্তে কোলেস্টেরল থাকার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গ।
৫. দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, চোখ ঝাপসা হয়ে আসা, চোখে ব্যথাও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময়ে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে চোখের রেটিনায় থাকা রক্ত প্রবাহে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে রক্তনালীতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে হৃদযন্ত্রে চাপ পড়ে বুকে ব্যথা হতে পারে। কোলেস্টেরল জমলে মস্তিষ্কেও রক্ত সঞ্চালন কমে। এই কারণে ঘাড়ে ও মস্তিষ্কের পিছনের দিকে মাঝেমাঝে একটানা ব্যথা হয়। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে।