সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে, স্লিপিং ডিসঅর্ডার নয় তো

জীবনশৈলী ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২১

স্লিপিং ডিসঅর্ডার। প্রতীকী ছবি
অনেকেই অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভোগেন। আবার কেউ কেউ পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরও সারাক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করেন। রাতে অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুমের পরও সারাদিন ক্লান্ত ভাব থাকে, সারাক্ষণ ঝিমুনি আসে, কাজ করার ইচ্ছা যদি না থাকে, সে ক্ষেত্রে চিন্তার যথেষ্ট বিষয় রয়েছে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে ‘স্লিপিং ডিসঅর্ডার’ বলা হয়। আর এমন হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। না হলে সমস্যা বাড়বে।
ঘুমে বিঘ্ন ঘটার ৮০ রকম ধরন আছে। অনিদ্রা, নিদ্রাহীনতা, ঘুমের মধ্যে পা চালানো, মাঝেমধ্যেই আচ্ছন্ন হয়ে পড়া একেকটি ধরন। চিকিৎসকদের মতে, সুস্থ থাকার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের রোজ অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম দরকার। কিন্তু এখন জীবনযাত্রা বদলে যাওয়ায় অনেকেই রাতে পর্যাপ্ত সময় ঘুমাতে পারেন না। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, সারাক্ষণ ক্লান্তিবোধ, মাঝরাতে ঘুমের মাঝে জেগে ওঠা, এক বার ঘুম ভেঙে গেলে দীর্ঘক্ষণ ঘুম না আসা, দিনের যে কোনো সময় প্রবল ঘুম পাওয়া, জোরে জোরে নাক ডাকা- এমন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও যেসব লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে আরও ঘুমের প্রয়োজন আছে...
- অস্বাস্থ্যকর বা ভাজাভুজির প্রতি ঝোঁক ঘুম ঠিকমতো না হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
- অস্বস্তিবোধ, সারাক্ষণ পানির তৃষ্ণা পাওয়াও ভালো লক্ষণ নয়। শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে এমনটা হতে পারে।
- ঠিকমতো ঘুম না হলে মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে না। ফলে ছোটরা ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারে না, বয়স্করা অনেক কিছু ভুলে যায়, ব্যক্তিত্ব বদলে যায়, এমনকি অবসাদও হতে পারে। তাই সতর্ক হোন।
- অনেক ক্ষেত্রে কোনো কারণ ছাড়াই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ঘুমের অসুখের লক্ষণ হতে পারে।
- ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া; জ্বর, সর্দি-কাশি লেগেই আছে? কারণ ঘুমের অভাব হলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তাই শরীরে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়া সহজেই হানা দিতে পারে।
- তবে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে জীবনযাত্রায় বদল আনা, আচরণগত থেরাপি, ওষুধ, রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করা, নিয়মিত শরীরচর্চা করা, আরামদায়ক তাপমাত্রায় ঘুমানোর চেষ্টা করা ও লাইট থেরাপির মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা যেতে পারে।