
মানব দেহের একটি অপরিহার্য অংশ হলো ফুসফুস। এটি জীবাণু ও দূষণের কারণে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে। বিশেষ করে বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে ফুসফুসের রোগ হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফুসফুস।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ঠেকাতে নিয়মিত কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে অন্যতম টমেটো।
এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে ফুসফুস ভালো রাখে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
আমলকি
নিয়মিত আমলকি খেলে যকৃতের ধূলিকণার সব ক্ষতি ঠেকানো যায়। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সর্দি-কাশি ঠেকাতে পারে।
টমেটো
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় টমেটো। গবেষকদের মতে, টমেটোতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেটিভ প্রভাব, যা কোষকে বুড়ো হতে দেয় না।
এ ছাড়া বিভিন্ন রকম ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এটি। টমেটোতে থাকা লাইকোপেন শ্বাসযন্ত্রে সুরক্ষা–স্তর হিসেবে কাজ করে। বাতাসে থাকা ক্ষতিকর ধূলিকণার প্রভাব হিসেবে কাজ করে লাইকোপেন।
হলুদ
হলুদ পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে পরিচিত। দূষিত কণার প্রভাব থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দিতে কাজ করে এটি। কফ ও অ্যাজমার সমস্যা সমাধানে হলুদ ও ঘিয়ের মিশ্রণ কার্যকরী।
তুলসী পাতা
ফুসফুসকে রক্ষা করতে তুলসী পাতা সাহায্য করে। এ ছাড়া বাতাসে থাকা ধূলিকণা শোষণ করতে পারে তুলসী গাছ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন অল্প করে তুলসীপাতার রস খেলে শরীরের শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর হয়।
লেবুজাতীয় ফল
কমলা ও লেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। লেবুজাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ফুসফুসে বায়ুর ক্ষতিকর উপাদানগুলোর প্রভাব পড়তে পারে না।
সবুজ চা
প্রতিদিন দুই কাপ করে গ্রিন টি বা সবুজ চা পান করতে পারেন। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে সবুজ চা।