
নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় দেখতে কে না চায়? কিন্তু বাড়তি ওজন অনেক সময় এর প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠে। শুধু সৌন্দর্যহানি নয়, বাড়তি ওজনের কারণে শরীর ও মনে ভর করে নানা রোগ ও বিষণ্ণতাও। তাই ওজনকে নিয়ন্ত্রনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। অবশ্য এ বিষয়ে মানুষ ক্রমশ সচেতন হয়ে উঠছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্টের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লাইভস্ট্রংয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণা অনুযায়ী শতকরা ৪৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৭ শতাংশ নারী তাদের ওজন কমাতে চান। তবে চাইলেই তো আর রাতারাতি নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। এ জন্য কয়েক ধাপে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আসুন জানা যাক সহজ কয়েকটি উপায়-
শর্করা গ্রহণে পরিমিত হন
ওজন হ্রাসের যাত্রা সঠিকভাবে শুরু করার ক্ষেত্রে সবচে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাবার তালিকা থেকে শর্করাকে বর্জন করা। অতিরিক্ত শর্করা শরীরে চর্বি তৈরি করে। ফলে ওজন বেড়ে যায় ও অন্ত্রকে উত্তেজিত করে। এ জন্য যারা ওজন কমাতে চান, তাদের ক্ষেত্রে শর্করার অংশটি ভাত-রুটি ইত্যাদি মিলে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ হলেই ভালো হয়। কেবল এই একটি কাজ করেই প্রথম সপ্তাহে ১০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমানো যায়।
আমিষ এবং শাকসবজি খেতে হবে
আমিষ প্রতিদিন আমাদের শরীরের ৮০ থেকে ১০০ ক্যালরি পর্যন্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাদ্যগ্রহন খাওয়ার আগ্রহ ও ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। ফলে অসময়ে নানা ধরণের ক্ষতিকর নাস্তা খাওয়া থেকে নিজেকে দুরে রাখা যায়। তাই ওজন কমাতে চাইলে খাওয়ার তালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণে আমিষ এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার রাখতে হবে। প্রতিদিন সঠিক মাত্রায় আমিষ, লো কার্বস সম্বলিত শর্করা বা শাকসবজি খেতে হবে। প্রোটিনের উৎস হতে পারে গরু বা মুরগির মাংস, যে কোনো ধরণের নদীর ও সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, ডিম ইত্যাদি।
স্বল্প কার্বসযুক্ত শাকসব্জির মধ্যে থাকতে পারে ফুলকপি, বাধাকপি, লাল শাক, সবুজ শাক, লেটুস পাতা, শশা ইত্যাদি। আর ফ্যাটের উৎস হিসেবে জলপাই তেল, নারিকেল তেল, অ্যাভাকাডো তেল এবং মাখন খাওয়া যেতে পারে।
প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিনবার ওয়েট লিফটিং
আমাদের শরীরের জন্য ওয়েট লিফটিং ট্রেইনিং খুবই দরকারি। সঠিক মাত্রার ওজন নিয়ে নির্দিষ্ট মাসেলের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গবিন্যাসের মাধ্যমে ধীরে ধীরে এটি করা হয়। অবশ্যই ওয়েট ট্রেইনিং এর নিয়ম-কানুন ঠিক মত জেনে করতে হবে। তা না হলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই প্রথমবার শুরুর আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ জিম ট্রেইনারের পরামর্শ দরকার। তবে যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে সাঁতার কাটা বা হাঁটার মতো সহজ ব্যায়ামগুলো করার চেষ্টা করুন। কয়েকদিনের মধ্যে নিজেকে দেখে নিজেই চমৎকৃত হবেন নিশ্চিত।