Logo
×

Follow Us

লাইফস্টাইল

শীতকালে দই!

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০৯:১০

শীতকালে দই!

দই দেহের জন্য খুবই উপযোগী একটি খাবার। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক, আলসার রয়েছে তাদের জন্য তো দইয়ের বিকল্প নেই। পেট ঠান্ডা রাখতে এই খাবারটি অতুলনীয়। আর স্বাদের দিক দিয়েও বেশ। কিন্তু শীতকালে দই খাওয়া নিয়ে অনেকেরেই সন্ধেহ থেকে যায়। এটি তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা খাবার হওয়ায় অনেকেই শীতকালে দই এড়িয়ে চলেন। সাধারণভাবে মনে করা হয়, শীতকালে দই খেলে ঠান্ডা লাগা এবং গলাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসলেই এ ধারণাটি কতটা ঠিক?

আয়ুর্বেদ চিকিৎসা যা বলছে

আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনুসারে, শীতকালে দই না খাওয়াই ভালো। কারণ দই আমাদের গ্ল্যান্ড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে মিউকাস নিঃসরণও বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যাদের শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা রয়েছে, তাদের শীতকালে মোটেও দই খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া যাদের সাইনাস এবং সর্দি-কাশির সমস্যা আছে তারা শীতকালে দই এড়িয়ে চলুন। আয়ুর্বেদের পরামর্শ অনুসারে শীতের রাতে কখনোই দই খাওয়া ঠিক নয়।

বিজ্ঞান কী বলছে

দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ভলো ভ্যাকটেরিয়া থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২ এবং ফসফরাস আছে। বিজ্ঞানের ভাষায়, শীতকালে দই খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তবে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা থাকলে বিকেল ৫টার পর দই খেতে বারণ করছেন বিজ্ঞানীরাও। কারণ এর ফলে মিউকাস বৃদ্ধি পেয়ে অ্যালার্জি ও অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এটি সর্দি-কাশিতে নিরাময়ে বেশ কার্যকরী। কিন্তু সেক্ষেত্রে দই ঘরের তাপমাত্রায় রেখে খাওয়া উচিত। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা দই খাওয়া ঠিক নয়। এছাড়া এ সময়ে সর্দি এবং জ্বরে আক্রান্ত হলে দই খাওয়া ঠিক নয়।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫