ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে নানান রোগ মানুষের সামনে এসে হাজির হয়। যা একসময় বড় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও শারীরিক যত্নের অভাবেই মূলত শরীরে মেদ জমতে থাকে। সেই সাথে শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগব্যাধি।
ওজন কমানোর জন্য চিকিৎসকরা অনেক সময় বেশ কিছু ঘরোয়া পানীয়ে আস্থা রাখার কথা বলেন। তেমনই এক কার্যকর একটি পানীয় কিশমিশ ভেজানো পানি। হৃৎস্পন্দনের হার ঠিক রাখা, শরীরে ক্যালসিয়ামের জোগান, খারাপ কোলেস্টেরলকে ঠেকিয়ে রাখা এবং ওজন বাগে আনতে এই পানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
কিশমিশে থাকা কার্বোহাইড্রেট শরীরে অতিরিক্ত শক্তির জোগান দেয়। রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতেও এই পানি খুবই কার্যকর। মেয়েরা রক্তাল্পতাজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন বলে এই পানীয় তাদের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তা-ই নয়, পেটের অসুখ থেকে যকৃতের যেকোনো অসুখ, রক্ত পরিশোধন ইত্যাদি নানা কাজেই কিশমিশ উপকারী।
কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে কিশমিশ:
¾ কিশমিশে ক্যালোরির মাত্রা কম থাকে। কিশমিশে থাকা প্রাকৃতিক শর্করা ও লেপটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখে। লেপটিন ফ্যাট ঝরাতেও সাহায্য করে।
¾ কিশমিশে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজমশক্তি ভালো রাখতে বেশ উপকারী। হজম ভালো হলে বিপাক হার বাড়ে, ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
¾ খালি পেটে শরীরচর্চা করা মোটেই ভালো নয়। ব্যায়ামের আগে কিশমিশ খেলে শরীরে দ্রুত শক্তির সঞ্চার হয়। কিশমিশ ভেজানো পানি খেলেও আপনি শরীরচর্চা করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পাবেন।
এই পানীয় খাওয়ার নিয়ম:
১০০ গ্রাম কিশমিশ ভালো করে ধুয়ে এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি ছেঁকে খালি পেটে খেয়ে নিন। ভালো ফল পেতে ছাঁকা পানি খানিক গরম করেও খেতে পারেন। তবে এই পানীয়র পর আধা ঘণ্টা আর কিছু খাবেন না। সপ্তাহে পাঁচ দিন এই পানি খেলে শারীরিক নানা সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
© 2022 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh