Logo
×

Follow Us

জেলার খবর

সুবর্ণচরের মহিষের দুধের দইয়ের ব্যাপক চাহিদা

Icon

সুবর্ণচর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ১৪:০৫

সুবর্ণচরের মহিষের দুধের দইয়ের ব্যাপক চাহিদা

মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ে উচ্চমাত্রার ক্যালশিয়াম ও প্রোটিন থাকে। ছবি: সংগৃহীত

তীব্র গরমে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মহিষের দুধের এক গ্লাস দই পান করে দেখুন। নিমিষে মিটে যাবে সমস্ত ক্লান্তি, রসনায় আসবে তৃপ্তি। তবে সঙ্গে চিনি বা গুড় মিশিয়ে নিতে ভুলবেন না। বিয়ে, জন্মদিন বা যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে রয়েছে মহিষের দুধের দইয়ের দারুণ কদর।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, ফেনী, কুমিল্লা, যশোরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দই যাচ্ছে এ অঞ্চল থেকে। নোয়াখালীর অনেক অঞ্চলে মহিষের দুধের দই তৈরি হলেও খ্যাতি পেয়েছে সুবর্ণচর ও হাতিয়ার দই। দুই অঞ্চলের ৮৫ শতাংশ মানুষই কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটি মহিষের উৎপাদিত একমাত্র কাঁচা দুধ থেকে তৈরি হয়।

নোয়াখালীর বিভিন্ন চরাঞ্চলের লোনা পানি এলাকায় রাখালরা মহিষ লালনপালন করে এবং কিছু এলাকায় মহিষের খামার করে উদ্যোক্তারা মহিষ পালন করে থাকে। সেখান থেকে গোয়ালরা উৎপাদিত মহিষের দুধ সংগ্রহ করে পৌঁছে দেয় সুবর্ণচর উপজেলার বিভিন্ন বাজারসহ দই ব্যবসায়ীদের কাছে।

সুবর্ণচর উপজেলার ভূঁইয়ার হাট বাজারের দই ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন জানান, প্রতিদিন দুপুরে গোয়ালরা মহিষের দুধ দোকানে দিয়ে যায়। এ কাঁচা দুধ মাটির টালি ও পাতিলে ঢেলে হালকা গরম জায়গায় রেখে দেয়। একদিন পর সেই দুধ বসে পরিণত হয় সুস্বাদু খাবার টকদইয়ে।

এক কেজি ওজনের এক পাতিল দধি বিক্রি হয় ১৫০ থেতে ১৭০ টাকা এবং বড় আড়াই কেজি ওজনের দধি বিক্রি হয় আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা দরে। তবে হঠাৎ করে বেশি দধির প্রয়োজন হলে পাওয়া যায় না। আগে থেকে অর্ডার দিতে হয়। এসব মহিষের দুধ থেকে তৈরি হচ্ছে দই। কয়েক শত পরিবার দইয়ের সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত হলেও এ বিষয়ে সরকারি কোনো পরিসংখ্যান নেই।

সারাবছর চাহিদা থাকলেও সাধারণত বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস ছাড়াও রমজান মাসে মহিষের দইয়ের ব্যপক চাহিদা থাকে নোয়াখালীজুড়ে। এ সুস্বাদু খাবারটি এখানকার প্রতিটি মিষ্টিভাণ্ডার ও দধিভাণ্ডারে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়। আর ক্রেতারা এসে এ সব ভাণ্ডার থেকে দই ক্রয় করে নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল নিয়ে যায়।

মহিষের দুধের দই সম্পর্কে চরজব্বার ডিগ্রী কলেজের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনোয়ারা বেগম বলেন, মহিষের দুধ থেকে তৈরি দইয়ে উচ্চমাত্রার ক্যালশিয়াম ও প্রোটিন থাকে। এতে থাকা ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। সুবর্ণচরের এ টক দইয়ে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ক্রিম এবং মাখন।

এটি খাবারের হজমশক্তি বাড়ায়। শুধু তা-ই নয়, এটি মানবদেহের মহোঔষধ। মানুষের শরীররে ব্যাক্টেরিয়াজনিত বহু রোগ নিরাময়ে দধি একমাত্র কার্যকর ভূমিকা রাখে বলেও ডাক্তাররা মন্তব্য করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫